জাকির নায়েক - একজন অতি ধূর্ত ভন্ড
২৮ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৯
জাকির নায়েক, এখন একটি নাম যা সম্ভবত মুসলিমদের কাছ থেকে তাদের নবীর নামের চেয়েও বেশি উচ্চারিত হয়। কারণ যদি তারা তাদের নবীর আম উচ্চারণ করে, তাহলে ইসলামের বিধান মতে তাদের একটি “দরূদ শরীফ” নামের “দু’আ” পড়তে হয়। তাই মুহম্মদ উচ্চারণের চেয়ে জাকির নায়েক উচ্চারণ করা বেশ নিরাপদ।
ক’বছর আগে মুহম্মদের ওপর একটি কার্টুন একটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয় আর মুসলিমেরাও খুব ক্ষেপে যায়। তারা পুড়িয়ে ফেলে কিছু দূতাবাস, যে দূতাবাসগুলো সে দেশের, কার্টুনটা প্রকাশিত হয়েছিল যে দেশ থেকে। অতএব, দেখা যাচ্ছে মুহম্মদের নাম উচ্চারণ করাটা কেমনতরো নিরাপদ।
এর আরও বেশ ক’বছর আগে একটা সিনেমা তৈরী হয়েছিলো “লরেন্স অব অ্যারাবিয়া” নামে। সেই সিনেমায় একটা সংলাপ ছিলো, যেখানে একজন চরিত্র নায়কের সম্পর্কে বলেছিলো, “সে এক ধরণের নবী”।
কিছুই পোড়ানো হয়নি। কোনো মুসলিম প্রতিবাদ করেনি।
যদিও নবীর সাথে কাউকে তুলনা করা পাপ।
কিন্তু আমরা দেখছি যে এ পাপটি করা নিরাপদ।
তাহলে আমরা এখন কেন বলবো না যে জাকির নায়েক “এক ধরনের নবী”? আর যাই হোক, অন্তত শরিয়া আইনে তো আমাদের শাস্তি হবে না।
জাকির নায়েককে যুক্তিযুক্তভাবেই “এক ধরণের নবী” বলা যেতে পারে, কারণ ঐ নায়ক “লরেন্স অব অ্যারাবিয়া”য় মুসলিমদের জন্য যা করেছিলো, জাকির নায়েক তার চেয়ে বেশি করছেন।
তো দেখা যাক এই “এক ধরণের নবী” কিভাবে ইসলাম প্রচার করছেন।
মানুষজন জাকির নায়েকের মধ্য থেকে একজন মহাবিজ্ঞানীর পরিচয় বের করেছে! জাকির নায়েককে নিয়ে কিছু ইউটিউব ভিডিও আর প্লে-লিষ্টের নামের একটি তালিকা দেখুন -
একটি অত্যন্ত কর্কশ প্রশ্নের জাকির নায়েকের দেয়া এক চমৎকার উত্তর!
ডঃ জাকির নায়েক একজন চমৎকার বিতার্কিক এবং বক্তা
জাকির নায়েক একজন মহাবিজ্ঞানী
জাকির নায়েক একজন বিজ্ঞানী
তো, তিনি একজন চমৎকার বিতার্কিক, চমৎকার বক্তা, চমৎকার বিজ্ঞানী ইত্যাদি ইত্যাদি।
তাহলে তাকে তো অবশ্যই যুক্তিবাদী হতে হবে। কিন্তু, বাস্তবে তিনি একজন ভাঁড়। নিশ্চয় চমকে গেছেন।
কীভাবে? জাকির নায়েক ভাঁড় হন কীভাবে?
বাংলায় বিখ্যাত প্রবাদ আছে একটি, কপালের নাম গোপাল, ঠকঠকালে ঠকঠক। অর্থাৎ কপালের নাম হল গিয়ে গোপাল, তাকে যদি লাঠি দি্যে বাড়িও মারা হয়, লাঠি দিয়ে বাড়ি মারলে যেমন শব্দ হয়, এটি শুধুই তেমন শব্দ করে। অর্থাৎ, কপালের লিখন না যায় খন্ডন। যদি ইংরেজীতে এই প্রবাদটি ছন্দে ছন্দে অনুবাদ করি, তাহলে হয় এমন- “fate is Mrs. Kate, if you ring her, she will sound- ding ding ding!” অর্থাৎ কপাল হল মিসেস কেট, তারে বাজাইলে খালি ঢং ঢংই করে।
এবার একটি কৌতুক দেখুন -
একজন নার্স একজন রোগীকে এক থালা ভাত দিল। তারপর চলে গেল নিজের কাজে। খেয়ে শেষ করে চিৎকার করা শুরু করল রোগীটি - নার্স! এই নার্স!
নার্স চিৎকার শুনে দৌড়াতে দৌড়াতে চলে আসলো।
-স্যার, আমায় ডাকছেন কেনো?
- থালাটা কে নিয়ে যাবে শুনি? উফ, আর পারিনা। আসলে সবই আমার কপাল। কপাল হইল মিসেস কেট, তারে বাজাইলে খালি ঢং ঢংই করে। আচ্ছা, তোমার কি মনে হয়, আসলেই কি কোনো মিসেস কেট আছে যারে বাজাইলে খালি ঢং ঢং করে?
এটা একটা খাঁটি রসিকতা।কিন্তু পড়লে মনে হয় রোগীটির ভিমরতি হয়েছে! আসলে পুরোটাই নেহাত রসিকতা বৈ কিছু নয়। এখানে খেলাটা করছে ছোট্ট একটা ব্যকরণিক কৌশল।
এখন দেখা যাক একজন নাস্তিকের প্রশ্নের উত্তরে জাকির নায়েকের বক্তব্য। তিনি উত্তর দিয়েছিলেন একটি বিখ্যাত প্রশ্নের। প্রশ্নটি ছিলো -
“ঈশ্বরের স্রষ্টা কে?” , অর্থাৎ “ঈশ্বরের ঈশ্বর কে(!!!)?”
প্রশ্নকারী॥ নায়েক সাহেব, আমি সন্জয় হাসপাতালের চিকিৎসক ডঃ”"(উচ্চারন অবোধ্য)। কোরান যে ঈশ্বরের কথা, তা নিয়ে আপনার চমৎকার ও আলোকবর্তিকাতুল্য বক্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনি যদি মনে করেন, কোরান ঈশ্বরের কথা; তাহলে আমি শুধু একটা প্রশ্ন করতে চাই আপনাকে। ঈশ্বরের স্রষ্টা কে? ঈশ্বরের উৎপত্তি কীভাবে?
জাকির নায়েক॥ বেশ, খুব ভালো প্রশ্ন। যদি আমি মনে করি কোরান ঈশ্বরের কথা, তাহলে ঈশ্বরের স্রষ্টা কে? খুব ভালো প্রশ্ন। ভাই, আমি যদি আপনাকে প্রশ্ন করি, আপনার বন্ধু হাসপাতালে একটি শিশু জন্ম দিয়েছেন, আপনি কি অনুমান করতে পারবেন যে শিশুটি ছেলে না মেয়ে?
আপনার বন্ধু হাসপাতালে একটি শিশু জন্ম দিয়েছেন, আপনি কি অনুমান করতে পারবেন যে শিশুটি ছেলে না মেয়ে? অনুমান করুন! অনুমান করুন!
প্রশ্নকারী॥ না!
( জনতার এক অশের হাসি)
জাকির নায়েক॥ ছেলে না মেয়ে?
প্রশ্নকারী॥ আমি অনুমান করতে পারব না।
জাকির নায়েক॥ দুঃখিত!
(জনতার মুচকি হাসি)
প্রশ্নকারী॥ আমি অনুমান করতে পারব না।
জাকির নায়েক॥ চেষ্টা করুন, অন্তত ৫০% তো ঠিক হবে।
প্রশ্নকারী॥ হ্যাঁ, হয়তো ৫০% ঠিক হবে। আধাআধি সুযোগ।
জাকির নায়েক॥ ঠিক আছে, আমাকে বলুন।
প্রশ্নকারী॥ ছেলে।
জাকির নায়েক॥ ছেলে!
(উচ্চস্বরে হাসি)
একটা ছেলে কি কখনো শিশুর জন্ম দিতে পারে?
প্রশ্নকারী॥ না।
জাকির নায়েক॥ তাহলে শিশুটা ছেলে হয় কীভাবে?
প্রশ্নকারী॥ কিন্তু একটি ছেলে তো একটি মেয়েকে গর্ভবতী করতে পারে।
জাকির নায়েক॥ আমি আপনাকে প্রশ্ন করছি, আপনার বন্ধু জন…….
(তুমুল হাসি)
আমি জন বলে কোনো মেয়েকে চিনি না।
প্রশ্নকারী॥ না, আমরা বলতে পারি।
জাকির নায়েক॥ ঠিক আছে। ধরুন আপনার বন্ধু, একজন ছেলে, একজন পুরুষ, হাসপাতালে গেলেন, এবং একটি শিশুর জন্ম দিলেন। তাহলে, শিহুটি ছেলে না মেয়ে?
প্রশ্নকারী॥ মেয়ে।
(জনতার প্রচন্ড অট্টহাসি)
জাকির নায়েক॥ একটা ছেলে কি কখনো শিশুর জন্ম দিতে পারে?
প্রশ্নকারী॥ না না ! (বিব্রত হাসি)
জাকির নায়েক॥ আঃ, এখন আপনি বুঝতে প্বেরেছেন। একটা ছেলে কখনোই একটি শিশুর জন্ম দিতে পারে না। তাহলে শিশুটি ছেলে না মেয়ে, সে প্রশ্ন আসে কোত্থেকে? কাজেই সংজ্ঞা অনুযায়ী ঈশ্বর অসৃষ্ট। অতএব, “ঈশ্বরের স্রষ্টা কে” প্রশ্নটি করা “একটি ছেলে যে শিশুটির জন্ম দিয়েছে, সে শিশুটি ছেলে না মেয়ে” প্রশ্নটি করার মত। প্রশ্নটি আযৌক্তিক। কারন, সংজ্ঞা অনুযায়ী একটা ছেলে কখনোই একটি শিশুর জন্ম দিতে পারে না।
কাজেই শিশুটি ছেলে না মেয়ে, সে প্রশ্ন আসে কোত্থেকে?
প্রতিটি সৃষ্ট বস্তুরই স্রষ্টা আছে, স্রষ্টার কোনো স্রষ্টা নেই।
কি দেখলেন? এটা একটা খাঁটি রসিকতা। যদি আমরা মনে করি যে ঈশ্বর সৃষ্টি হতে পারে না ঠিক যেমন কোনো ছেলে কোনো শিশুর জন্ম দিতে পারে না, তাহলে এ কথার কোনো অর্থই নেই। কারণ, প্রকৃতির নিয়মের আওতায় কোনো ছেলে কোনো শিশুর জন্ম দিতে, অর্থাৎ প্রসব করতে পারে না। কিন্ত-
১. ঈশ্বর প্রকৃতি ওপরে, সে কথা বিশ্বাসীরা বলে থাকে; তাহলে তাঁকে এমন কিছু দিয়ে বিচার করা উচিত নয় যা আওতায়।
যদি তা করা হয়, তাহলে তো তিনিও এমন কিছু একটাতে পরিণত হন যা
আওতায়! তাহলে তো তাঁর স্রষ্টারও প্রয়োজন পড়ে। কারণ, বিশ্বাসীরা বলে যে প্রকৃতি ঈশ্বরের সৃষ্টি।
২. আমি যদি ঈশ্বর স্রষ্টাহীন প্রমাণ করার জন্য বলি যে কোনো ছেলে কখনো কোনো শিশুকে জন্ম দিতে পারে না, তাহলে ঈশ্বর স্রষ্টাহীন প্রমাণ করতে আমি এমন হাজারটা কথা বলতে পারি। কারণ কোনো ছেলে কখনো কোনো শিশুকে জন্ম দিতে পারে না, তা একটি প্রাকৃতিক নিয়ম;
বিজ্ঞানের কোনো তত্ব নয়। এমন অযুত নিযুত প্রাকৃতিক নিয়ম পৃথিবীতে আছে। আবার কথাটা চলে যাচ্ছে ১ নং যুক্তির চক্রের দিকে, যা কখনই শেষ হবে না। কারণ, এখানে আমরা বলতে পারি ঈশ্বরকে যে সৃষ্টি করা যায় না, সেটাও একটি প্রাকৃতিক নিয়ম, অর্থাৎ - ঈশ্বরকে যে সৃষ্টি করা যায় না, সেটা প্রকৃতির নিয়মের আওতায় পড়ে। পরিষকারভাবে দেখুন, এখানে অবশ্যই কিছু প্রশ্ন আসে, প্রাকৃতিক নিয়মের স্রষ্টা কে? এ প্রশ্নের মানে, প্রকৃতির স্রষ্টা কে? যদি ঈশ্বর প্রাকৃতিক নিয়ম সৃষ্টি করে থাকেন, তাহলে “তিনি যে সৃষ্টি হতে পারেন না”, এ নিয়মও নিশ্চয়ই তাঁরই তৈরী। তাহলে, এই নিয়মটি বা বিধানটি তৈরী করার আগে নিস্চয়ই এ নিয়মটি ছিলো না। কারণ তখন এটি তৈরীই হয়নি। তাহলে, একদা এই প্রাকৃতিক নিয়ম বা বিধানটি ছিলো না। তাহলে, তখন ঈশ্বরকে নিশ্চয়ই সৃষ্টি করা যেতো।
এই নিয়মটি তিনি তৈরী করার পরে আর তাঁকে সৃষ্টি করা সম্ভব রইলো না। অতএব, আমরা অবশ্যই প্রশ্ন করতে পারি যে, যদি কোনো সময়ে ঈশৃকে সৃষ্টি করা সম্ভব হতো, তাহলে তিনি কি কারো সৃষ্টি? যদি হয়, তাহলে তিনি কে? আবারো সেই প্রশ্ন চলে আসে এখানে - ঈশ্বরকে কে সৃষ্টি করেছেন?
এটি প্রমাণ করে যে “ঈশ্বর সৃষ্টি হতে পারেন না” - এমন কোনো প্রাকৃতিক নিয়ম নেই, বা ঈশ্বরও এমন কোনো নিয়ম তৈরী করতে পারেন না যা তাঁকে (ঈশ্বর) সৃষ্টি করার সম্ভাবনা শেষ করে দেয়।
যিনি এমন একটি প্রাকৃতিক নিয়মই সৃষ্টি করতে পারেন না যা তাঁকে সৃষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করে, তিনি অন্য কোনো প্রাকৃতিক নিয়ম সৃষ্টি করবেন কীভাবে? তিনি যদি কোনো প্রাকৃতিক নিয়ম সৃষ্টি করতে পারেন, তাহলে এই নিয়মটি অবশ্যই তাঁকে সৃষ্টি করতে হবে। কারন, তিনি যদি এই একটিই বানাতে না পারেন, তাহলে আরেকজন ঈশ্বর চলে আসবেন, যিনি আরো একজনকে নিয়ে আসবেন (আবার ১ নং যুক্তি চক্রটি দেখুন)। তাহলে, তিনি যদি প্রাকৃতিক নিয়ম সৃষ্টি করতে না পারেন, তাহলে তিনি প্রকৃতিও সৃষ্টি করতে পারেন না। কারন,
প্রাকৃতিক নিয়ম আর প্রকৃতি সমার্থক
(কারন, প্রাকৃতিক নিয়ম ছাড়া প্রকৃতি অর্থহীন - ব্যাকরণে হয়তো নয়, কিন্তু বাস্তবে)।
যিনি কিছুই সৃষ্টি করতে পারেন না, তিনি কীভাবে স্রষ্টা হন?
তাহলে দেখা যাচ্ছে বাস্তবে কোনো স্রষ্টা নেই। আর, যদি কোনো স্রষ্টা না থাকে, তাহলে কোনো ঈশ্বরও নেই। কারণ ঈশ্বরের প্রধান কাজ সৃষ্টি করা।
আর যদি তিনি কোনো একটি কিছু সৃষ্টি করতে না পারেন, তাহলে সেটিকে তিনি শাস্তিও দিতে পারেন না, নিজের নির্দেশমত কোনো কাজই করতে পরিচালনাও করতে পারেন না।
সুতরাং, যে কোনো ঈশ্বরে বিশ্বাস করাটাই অর্থহীন।
সুতরাং, ঈশ্বর যে সৃষ্টি হতে পারেন না, এমন কথা বিশ্বাস করাটাও অর্থহীন। কারণ, যেখানে কোনো ঈশ্বরই নেই, সেখানে ঈশ্বর সৃষ্টি হতে পারেন কি পারেন না সে প্রশ্ন আসে কোত্থেকে?
বর্তমানে একটি গান খুব লোকপ্রিয় - “ঈশ্বর একটি শক্তি”। বিশ্বাসীরা এখন একই সুরে বলতে পারে - ঈশ্বর নিজেই একটি প্রাকৃতিক নিয়ম।
আসলে এমন করেই তারা উত্তর দেয়। কিন্তু এখানেও আছে একটি সমস্যা - ঈশ্বর যদি হন নিজেই একটি প্রাকৃতিক নিয়ম, তাহলে সেই নিয়মের স্রষ্ট্রা কে? আবার সেই একই চক্র। এখন যে বিশ্বাসী ব্যাকরণ খুব ভালো জানে (জাকির নায়কের মত), নতুন একটি চাল চালতে পারে।
সে বলতে পারে - ঈশ্বর এমন একটি প্রাকৃতিক নিয়ম, যা সৃষ্টি করা যায় না। শুধু “এমন একটি প্রাকৃতিক নিয়ম, যা” মুছে দিন, তাহলে আবারও সেই একই চক্র। যদি তা সত্যিও হয়, তাহলেও একটি প্রশ্ন আসে - তাহলে বাকি প্রাকৃতিক নিয়মগুলো কে সৃষ্টি করেছেন? প্রাকৃতিক নিয়ম কি আরেকটিকে সৃষ্টি করতে পারে? যদি তাই হয়, তাহলে কোনো ঈশ্বরের প্রয়োজন নেই। তাহলে ঈশ্বর ছাড়াই প্রাকৃতিক নিয়মগুলো সৃষ্টি হতে পারে (যা সত্যিকারের সত্য)। এখন, আবারও কেউ বলতে পারে ঈশ্বর এমন একটি প্রাকৃতিক নিয়ম, যা আরেকটি প্রাকৃতিক নিয়মকে সৃষ্টি করতে পারে। তাহলে আরেকটি প্রশ্ন আসে - ঈশ্বর কি এমন একটি প্রাকৃতিক নিয়ম সৃষ্টি করতে পারেন, যে নিয়মটি পারে আরেকটিকে সৃষ্টি করতে? যদি পারেন, তাহলে তো তার সৃষ্টিটি হবে আরেকটি ঈশ্বর, কারণ তাহলে
ঈশ্বরই যে শুধু প্রাকৃতিক নিয়ম সৃষ্টি করতে পারেন, সে সত্যিটি আর বজায় থাকবে না। আবার একটা ঈশ্বর-চক্র শুরু হবে, তবে এবার একটি আদি-ঈশ্বর দিয়ে। আর যদি তা হয়, তাহলে তো মাত্র একজন নয়, হাজারটা ঈশ্বর থাকবে। অতএব, ইসলামের মত একেশ্বরবাদী ধর্মগুলো মিথ্যে প্রমাণিত হবে।
এবার ওপরের অনুচ্ছেদটি থেকে শুধু “প্রাকৃতিক নিয়ম” শব্দটি কেটে বসিয়ে দিন “শক্তি”। তারপর নিজেকে প্রশ্ন করুন, ঈশ্বর কি আসলেই কোন শক্তি?
ধর্ বলে, যখন একটা সাধারণ জাহাজেরও চালক প্রয়োজন হয়, তখন এই বিশ্বব্রহ্মান্ড কীভাবে চালকহীন হবে? তই, একজন ঈশ্বরকে থাকতে হবে অবশ্যই। আমরা বলি, যখন একটা সাধারণ জাহাজেরও চালক প্রয়োজন হয়, তখন ঈশ্বর, যে কিনা এই গোটা বিশ্বব্রহ্মান্ড পরিচালনা করে, সে কীভাবে চালকহীন হবে? এরপর প্রশ্ন আসে, ঈশ্বরের ঈশ্বর কে?
অর্থাৎ, ঈশ্বরকে সৃষ্টি করেছে কে? অতএব, এই প্রশ্নটিই ওপরে এত ঝামেলা পাকিয়েছে।
এখন তাকান জাকির নায়েকের দিকে। তিনি কি আসলেই একজন ভাঁড় নন?
তিনি আসলেই প্রশ্ন উত্থাপনকারী লোকটির সাথে রঙ্গতামাশা করেছেন।
মানুষ যেভাবে হাসছিলো, যদি দেখতেন, বুঝতে পারতেন। যে হালটি তিনি করেছেন লোকটির, অমন হাল হলে কেউই যুক্তিযুক্ত কোনো কিছু চিন্তা করার ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে না। আর তিনি পুরো একটা ব্যাকরণের খেলা খেলেছেন লোকটিকে নিয়ে। যখন তিনি প্রশ্ন করলেন যে জন যদি কোনো শিশু জন্ম দিয়ে থাকে, তাহলে তা ছলে ন মেয়ে, তখন শুনে মনে হয়েছিলো তিনি বলছেন যে জন যেন একজন ডাক্তার, তিনি
যখন কোনো গর্ভধারিণীর অস্ত্রোপচার করে সন্তান জন্ম দেন, তখন তা ছেলে না মেয়ে তা বোঝা অসম্ভব হয়। কেউ বুঝতে পারের নি আসলে জাকির নায়েক কি বললেন। এমনকি যখন লোকটি উত্তরে বলল “ছেলে”, তখন যারা হেসেছিল, তারা কিন্তু “কোনো ছেলে কোনো শিশুর জন্ম দিতে পারে না” ভেবে হাসেনি, তারা হেসেছে, কারণ তাদের মনে হয়েছে যে লোকটা খুব আহাম্মকের মত একটা উত্তর দিয়েছে।
আসলে যা সত্য, তা হলো, জাকির নায়েক সবসময় এমনই একটা পরিস্হিতি তৈরী করেন যাতে প্রশ্নকর্তা এবং দর্শক্-শ্রোতারা বেকুব বনে যায়। যদি তার ভিডিওচিত্রগুলো দেখেন, ভালো করে তাকালে দেখবেন
প্রায় সবসময়ই তিনি প্রশ্নকর্তাকে নিয়ে খুব একচোট হাসাহাসি করেন আর সেই প্রশ্নকর্তা বা প্রশ্নকর্ত্রী বেচারা ব বেচারীটিকে বিব্রত করেন। কখনো তিনি ব্যাবহার করন ব্যাকরণিক কৌশল আর কখনো কৌতুক।
তিনি কি আসলেই জানেন কোনটা যুক্তিযুক্ত আর কোনটা নয়? আসলেই কি তিনি বোঝেন কৌতুক আর যুক্তির মধ্যে পার্থক্যটা?
তিনি কি আসলেই একজন ভন্ড নন? কিনবা এমন একজন ব্যক্তি, যিনি কিছুই আনেন না?
লেখক বলেছেন: সেটাই আপনেকে শান্তি দিতাসে।
তিনকোনা রম্ভস হইয়া যান, জোকার আপনেরে পরিমাপ করবনে।
আর আপনার বক্তব্যে যেসব মিথ্যাচার আছে সেগুলোর জন্য নিন্দা জানাইতে পারি। কিন্তু লেখাটা এতই দুর্বল আর হাস্যকর যে সেটাও জানালাম না...
মুহম্মদ উচ্চারণের চেয়ে জাকির নায়েক উচ্চারণ করা বেশ নিরাপদ: ঐ তোর কাছে কেউ কি কোন সাজেশন চাইছে যে সে কি উচ্চারন করবে। ব্লগে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার পায়তারা বন্ধ কর।
জাকির আর জোকার সমান সমান
লেখক বলেছেন: আপনে ত খুবই মজার।
লেখক বলেছেন: আপনে ত ছোট বাচ্চাই।
সৈকত, আপনের হিসাবের কোনও ধর্মেরই আমি না।
আর মুসলমান হইলেও, জোকারের ছাগলামি কে সাপোর্ট দিতে হবে?
সেতো বানায়া বানায়া নিজের মত হাস্যকর কথা কয়।
টু এ ক্রিমিনাল এ পুলিশম্যান এ জিহাদি।
একই কথা কয়েকশবার কইয়া যা কয় তা হইল শয়তানি।
"ধ্বিক্কার.. " এই রকম ভাবে কেমনে জানলেন?
আপনাদের সুবিধার্থে কথোপকথনটা এখানে কপি করে দিলাম
প্রশ্নকারী॥ নায়েক সাহেব, আমি সন্জয় হাসপাতালের চিকিৎসক ডঃ”"(উচ্চারন অবোধ্য)। কোরান যে ঈশ্বরের কথা, তা নিয়ে আপনার চমৎকার ও আলোকবর্তিকাতুল্য বক্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনি যদি মনে করেন, কোরান ঈশ্বরের কথা; তাহলে আমি শুধু একটা প্রশ্ন করতে চাই আপনাকে। ঈশ্বরের স্রষ্টা কে? ঈশ্বরের উৎপত্তি কীভাবে?
জাকির নায়েক॥ বেশ, খুব ভালো প্রশ্ন। যদি আমি মনে করি কোরান ঈশ্বরের কথা, তাহলে ঈশ্বরের স্রষ্টা কে? খুব ভালো প্রশ্ন। ভাই, আমি যদি আপনাকে প্রশ্ন করি, আপনার বন্ধু হাসপাতালে একটি শিশু জন্ম দিয়েছেন, আপনি কি অনুমান করতে পারবেন যে শিশুটি ছেলে না মেয়ে?
আপনার বন্ধু হাসপাতালে একটি শিশু জন্ম দিয়েছেন, আপনি কি অনুমান করতে পারবেন যে শিশুটি ছেলে না মেয়ে? অনুমান করুন! অনুমান করুন!
প্রশ্নকারী॥ না!
( জনতার এক অশের হাসি)
জাকির নায়েক॥ ছেলে না মেয়ে?
প্রশ্নকারী॥ আমি অনুমান করতে পারব না।
জাকির নায়েক॥ দুঃখিত!
(জনতার মুচকি হাসি)
প্রশ্নকারী॥ আমি অনুমান করতে পারব না।
জাকির নায়েক॥ চেষ্টা করুন, অন্তত ৫০% তো ঠিক হবে।
প্রশ্নকারী॥ হ্যাঁ, হয়তো ৫০% ঠিক হবে। আধাআধি সুযোগ।
জাকির নায়েক॥ ঠিক আছে, আমাকে বলুন।
প্রশ্নকারী॥ ছেলে।
জাকির নায়েক॥ ছেলে!
(উচ্চস্বরে হাসি)
একটা ছেলে কি কখনো শিশুর জন্ম দিতে পারে?
প্রশ্নকারী॥ না।
জাকির নায়েক॥ তাহলে শিশুটা ছেলে হয় কীভাবে?
প্রশ্নকারী॥ কিন্তু একটি ছেলে তো একটি মেয়েকে গর্ভবতী করতে পারে।
জাকির নায়েক॥ আমি আপনাকে প্রশ্ন করছি, আপনার বন্ধু জন…….
(তুমুল হাসি)
আমি জন বলে কোনো মেয়েকে চিনি না।
প্রশ্নকারী॥ না, আমরা বলতে পারি।
জাকির নায়েক॥ ঠিক আছে। ধরুন আপনার বন্ধু, একজন ছেলে, একজন পুরুষ, হাসপাতালে গেলেন, এবং একটি শিশুর জন্ম দিলেন। তাহলে, শিহুটি ছেলে না মেয়ে?
প্রশ্নকারী॥ মেয়ে।
(জনতার প্রচন্ড অট্টহাসি)
জাকির নায়েক॥ একটা ছেলে কি কখনো শিশুর জন্ম দিতে পারে?
প্রশ্নকারী॥ না না ! (বিব্রত হাসি)
জাকির নায়েক॥ আঃ, এখন আপনি বুঝতে প্বেরেছেন। একটা ছেলে কখনোই একটি শিশুর জন্ম দিতে পারে না। তাহলে শিশুটি ছেলে না মেয়ে, সে প্রশ্ন আসে কোত্থেকে? কাজেই সংজ্ঞা অনুযায়ী ঈশ্বর অসৃষ্ট। অতএব, “ঈশ্বরের স্রষ্টা কে” প্রশ্নটি করা “একটি ছেলে যে শিশুটির জন্ম দিয়েছে, সে শিশুটি ছেলে না মেয়ে” প্রশ্নটি করার মত। প্রশ্নটি আযৌক্তিক। কারন, সংজ্ঞা অনুযায়ী একটা ছেলে কখনোই একটি শিশুর জন্ম দিতে পারে না।
কাজেই শিশুটি ছেলে না মেয়ে, সে প্রশ্ন আসে কোত্থেকে?
প্রতিটি সৃষ্ট বস্তুরই স্রষ্টা আছে, স্রষ্টার কোনো স্রষ্টা নেই।
সৈকত সাহেব আপ্নে মুসলমানই হইছেন ... মানুষ হইতে পারেন্নাই ... এহনও ....
ধর্মের সমালোচনা সহ্য করতে না পাইরা যদি উত্তেজিত হয়া কারো কল্লা কাইটা হেরপর স্যরি মারান ... ... তাইলে খুব সহজেই বুঝা যায় আপ্নের ইসলাম ধর্ম আপনাগোরে কি শিক্কা দিছে ...
নাকি "জোকার" ভক্তরা নিজেরাই এটার আগা-পাছা খুজে পাচ্ছেন না?
@জনাব সুফল- আপনার কাছে ফালতু আর ভালো পোস্ট নির্ধারনের ক্রাইটেরিয়া কি???
লেখক বলেছেন: চরম ফালতু কমেন্ট।
যারা দ্বিমত তারা প্রমাণ করেন যে পোস্টে প্রদানকৃত যুক্তি ভুল। ফ্যালাসি কইরা কী লাভ!
লেখক বলেছেন: ঠিক। ছাগলের ভাষা অবোধ্য। দয়া করে দ্বিমতীরা মানুষের ভাষায় কথা বলুক।
পশ্চাদে মারিবে পাগলা কুত্তার স্টিকার
জাকির কী চোর? স্মাগলার? খুনী?
জাকির নায়েক এসব করছে এমন কোন প্রমাণ যদি আপনি দেখাতে না পারেন, তাহলে আমি এই মানুষটাকে সম্মান করলে আপনার সমস্যা কই??
হতে পারে, জাকির এই প্রশ্নটার উত্তর ভাল মত দিতে পারেনি, কিন্তু, আরো হাজারটা প্রশ্নের উত্তর দারুণ দিয়েছে। তাই আমি তাকে সম্মান করি। আপনার সমস্যা কই???
এই ধরণের মনমানসিকতা বাদ দেন।
নাস্তিকদের প্রতিপক্ষ আসলে কী??? আস্তিকতার মতবাদের বিরুদ্ধে নাকি আস্তিকদেরই বিরুদ্ধে !!!! আস্তিকরা কী মানুষ না??? তখন মানবতার বুলি মনে থাকে না??]
সেটা আগে পরীষ্কার করেন।
আমাদের একেকজনের মতামত আলাদা হতেই পারে, মতবাদও আলাদা হবে। কিন্তু, যে ব্যক্তি চোর না স্মাগলার না, খুলী না, তার পিছনে লাগা হবে কেন??? আপনার এই আচরণের যুক্তিটা কী?
তবে জোকার নায়েকের লূঙ্গি আগেও খোলা হইছে শিক্ষানবিসের এই পোস্টে...
হাসতে হাসতে শ্যাষ।
সেই পোস্টটাই সামুব্লগে দেওয়ায় পোস্টার ব্যান হয়াছিলো বেশ কিছুদিন।
জুকারের লুঙ্গি আরেকবার খোলার জন্য ধন্যবাদ। প্লাস দেয়ার ক্ষমতা করতিপকষ কুক্ষিগত কৈরা রাখছে তাই পেলাস দিতে পারলাম না।
তবে তিঙ্কোনারে একশনে দেইখা পুরানা দিনের কথা মনে পৈড়া গেলো... খিকজ্
Description:
সাম্প্রতিককালের শীর্ষস্থানীয় বুজরুক। হাটুত জ্ঞান নিয়েও যিনি গ্যালাক্সি নিয়ে কথা বলেন।